রবিবার, ২রা নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জাকির নায়েকের সম্ভাব্য সফর নিয়ে দিল্লির বক্তব্যের জবাব দিলো ঢাকা *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা *** বঙ্গভবন থেকে মুজিবের ছবি নামানো ‘অন্যায়’ হয়েছে: সেলিম *** ভারতের ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির যে কারণে আজ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে *** আমরা মদিনার ইসলামের চর্চা করি, মওদুদীর ইসলামের অনুসারী নই: সালাহউদ্দিন *** নাজমুল শান্তই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক *** ২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও ৭ শতাংশ কমতে পারে, বাংলাদেশে কী হবে *** গোল্ডেন বুট হাতে এমবাপ্পে বললেন, রিয়ালে আরও বহু বছর থাকতে চাই *** ‘দুই দিনের মধ্যে’ এশিয়া কাপের ট্রফি চায় ভারত, না হলে... *** লজ্জায় স্কুলে যেতে চায় না ইমরান হাশমির ছেলে, যা বললেন অভিনেতা

মাঙ্কিপক্সের বিস্তার

মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়, লক্ষণ ও চিকিৎসা কী ?

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:০২ অপরাহ্ন, ১৭ই আগস্ট ২০২৪

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

বর্তমান বিশ্বে এক নতুন আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স যা এমপক্স নামেও পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই এমপক্সের বিস্তৃতির জন্য আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে।

মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সে কী : এমপক্স হচ্ছে, গুটিবসন্তের মতো একটি ভাইরাস যা তুলনামূলক অনেক কম ক্ষতিকারক। এই ভাইরাসটি প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে শুরু করেছে।

এমপক্সের লক্ষণগুলো :

সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা।

আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।

অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। এর ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে।

সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে। তবে ছোট শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য কিছু ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত মারাত্মক।

এর আক্রমণের কারণে গুরুতর ক্ষেত্রে মুখ, চোখ এবং যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে ক্ষত তৈরি হতে পারে। পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট দেশগুলোর প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এমপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।

এমপক্স কীভাবে ছড়ায়?

এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এসে কথা বলা বা শ্বাস নেয়ার মতো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে এটি একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাসটি ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। রোগের উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরিবারের সদস্যসহ তার ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনো প্রাণী যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি ওই সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে বেশি কাছাকাছি আসে তবে তিনি এতে আক্রান্ত হতে পারেন।

২০২২ সালের বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। কঙ্গোর বর্তমান প্রাদুর্ভাবের বড় একটি কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।

কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, সে সম্পর্কে আরও বুঝতে বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ছোট শিশুরা যেভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে খেলাধুলা করে এবং একে অপরের সঙ্গে মেশে তার কারণে ঝুঁকিতে থাকতে পারে।

এমনকি চার দশকেরও বেশি সময় আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া গুটিবসন্তের টিকাও তারা পাচ্ছে না। ফলে আগের টিকা পাবার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরা হয়তো কিছুটা সুরক্ষিত।

এমপক্সের চিকিৎসা কী?

এমপক্সের টিকা থাকলেও যারা ঝুঁকিতে আছে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকছে কেবল তারাই এই টিকা পেতে পারে। আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত না হলেও জরুরি ব্যবহারের জন্য এমপক্সের টিকাগুলো দিতে সম্প্রতি ওষুধ প্রস্তুতকারকদের নির্দেশ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।

এখন যেহেতু আফ্রিকার সিডিসি মহাদেশব্যাপী ‘জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা’ ঘোষণা করেছে, আশা করা যায় এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারগুলো আরও ভালভাবে সমন্বয় করতে সক্ষম হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চিকিৎসা সরবরাহ এবং সহায়তার প্রবাহকে সম্ভাব্য পরিমাণে বাড়াবে।

বৈশ্বিক কোনো পদক্ষেপ ছাড়া বর্তমান প্রাদুর্ভাব মহাদেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি 

ওআ/কেবি

স্বাস্থ্য সচেতনতা মাঙ্কিপক্স মাঙ্কিপক্স লক্ষণ মাঙ্কিপক্স চিকিৎসা মাঙ্কিপক্স ছড়ানো ভাইরাসজনিত সংক্রমণ সংক্রমণ প্রতিরোধ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250